বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল ২১ জনকে। তাদের মধ্যে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) একজন মারা যান। আরেকজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৯ জন চিকিৎসাধীন বলে জানান ডা. সামন্তলাল সেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২১ জনকে বার্নে আনা হয়েছে। তার মধ্যে হাবিব খান (৪৫) নামে একজন মারা গেছেন, একজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৯ জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। ভর্তি হওয়া প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে কতজন শঙ্কামুক্ত, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্তলাল বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তারা শঙ্কামুক্ত কি না, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়।’
এরইমধ্যে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত ৩০ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজার পর নিহতদের গণকবরে দাফন করা হবে।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনের লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। পরে আরও পাঁচ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৩২ লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে দুইজনের লাশ শনাক্ত হয়েছে।